প্রাকৃতিক সম্পদের শ্রেণীবিভাগ কর, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যাবস্থাপণা সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রাকৃতিক সম্পদ হলো এমন সম্পদ যা সরাসরি প্রকৃতি থেকে আহরণ করা হয় এবং সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে মানব ব্যবহারোপযোগী করা হয়। এতে বাণিজ্যিক ও শিল্প ব্যবহার, নান্দনিক কদর, বৈজ্ঞানিক আগ্রহ এবং সাংস্কৃতিক কদরের মতো মূল্যবান বৈশিষ্ট্যের উৎস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পদের মধ্যে সূর্যের আলো, বায়ুমণ্ডল, পানি, ভূমি, সমস্ত উদ্ভিদকূলসহ সমস্ত খনিজ এবং প্রাণিজীবন অন্তর্ভুক্ত।প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হতে পারে বা অভরায়ণ্যে সুরক্ষিত থাকতে পারে। বিশেষ অঞ্চল (যেমন- সুন্দরবন) প্রায়ই তাদের বাস্তুতন্ত্রে জীববৈচিত্র্য ও ভূবৈচিত্র্য প্রদর্শন করে। প্রাকৃতিক সম্পদ বিভিন্ন উপায়ে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক সম্পদ হলো বস্তু ও উপাদান (এমন কিছু যা ব্যবহার করা যেতে পারে) যা পরিবেশের মধ্যে থেকে পাওয়া যায়। প্রতিটি মানবসৃষ্ট পণ্য প্রাকৃতিক সম্পদ দ্বারা গঠিত (তার মৌলিক স্তরে)।



একটি প্রাকৃতিক সম্পদ একটি পৃথক সত্তা হিসাবে বিদ্যমান থাকতে পারে, যেমন- বিশুদ্ধ পানি, বায়ু, সেইসাথে মাছের মতো যেকোনো জীবন্ত প্রাণী; অথবা এটি নিষ্কাশন শিল্প দ্বারা একটি অর্থনৈতিকভাবে উপযোগী আকারে রূপান্তরিত হতে পারে যেটিকে অবশ্যই সম্পদ প্রাপ্তির জন্য প্রক্রিয়া করতে হবে, যেমন- ধাতব আকরিক, বিরল মৃত্তিকা মৌল, পেট্রোলিয়াম, কাঠ ও অধিকাংশ শক্তি। কিছু সম্পদ হলো পুনর্নবীনীকরণযোগ্য বা নবায়নযোগ্য সম্পদ, যার অর্থ হলো সেগুলো একটি নির্দিষ্ট হারে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং প্রাকৃতিক ক্রিয়ায় তাদের পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে, পক্ষান্তরে অধিকাংশ নিষ্কাশন শিল্প অপুনর্নবীনীকরণযোগ্য বা অনবায়নযোগ্য সম্পদের উপর অধিক পরিমাণে নির্ভর করে যা শুধুমাত্র একবারই আহরণ করা যেতে পারে।


প্রাকৃতিক সম্পদের বণ্টন দেশসমূহের মাঝে ও অভ্যন্তরে অনেক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের কেন্দ্রে হতে পারে। এটি ক্রমবর্ধমান অভাব এবং ঘাটতির সময়কালে সত্য (সম্পদ হ্রাস ও অতিরিক্ত ব্যবহার)। সম্পদ আহরণও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পরিবেশগত ক্ষতির একটি প্রধান উৎস। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়সূচিসমূহ প্রায়শই আরও টেকসই সম্পদ নিষ্কাশন তৈরির উপর আলোকপাত করে, কিছু বিশেষজ্ঞ ও গবেষক অর্থনৈতিক মডেল তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেন, যেমন- বৃত্তাকার অর্থনীতি, যা সম্পদ আহরণের উপর কম নির্ভর করে এবং পুনঃব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও নবায়নযোগ্য সম্পদের উপর বেশি নির্ভর করে। যা টেকসইভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে।

শ্রেণিবিভাগ :

প্রাকৃতিক সম্পদের শ্রেণিবিভাগের বিভিন্ন মানদণ্ড রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উৎপত্তির উৎস, বিকাশের পর্যায়, নবায়নযোগ্যতা এবং মালিকানা।

# জৈব সম্পদ: জীবমণ্ডল থেকে উদ্ভূত সম্পদ এবং যাদের প্রাণ আছে যেমন বন ও পশু, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা ও পেট্রোলিয়ামও এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত কারণ তারা ক্ষয়প্রাপ্ত জৈব পদার্থ থেকে গঠিত।

# অজৈব সম্পদ: জড় ও অজৈব উপাদান থেকে উদ্ভূত সম্পদ। এর মধ্যে রয়েছে ভূমি, স্বাদু পানি, বায়ু, বিরল মৃত্তিকা মৌল ও আকরিকসহ ভারী ধাতু, যেমন সোনা, লোহা, তামা, রূপা ইত্যাদি।

বিকাশের পর্যায় সম্পাদনা:

# সম্ভাব্য সম্পদ: যেসব সম্পদসমূহের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা যায়, কিন্তু এখনও ব্যবহৃত হয়নি। এগুলো ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পাললিক শিলার পেট্রোলিয়াম যা টেনে বের করে ব্যবহার না করা পর্যন্ত একটি সম্ভাব্য সম্পদ হিসাবেই থেকে যায়।

# প্রকৃত সম্পদ: যেসব সম্পদসমূহ জরিপকৃত, পরিমাপকৃত ও ব্যবহার্য এবং বর্তমানে উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়। এগুলো সাধারণত প্রযুক্তি ও তাদের সম্ভাব্যতার স্তরের উপর নির্ভরশীল। যেমন: কাঠ প্রক্রিয়াজাতকরণ।

# সংরক্ষিত সম্পদ: এমন প্রকৃত সম্পদের অংশ যা ভবিষ্যতে লাভজনকভাবে বিকশিত হতে পারে।

# মজুদকৃত সম্পদ: যেসব সম্পদসমূহের জরিপ করা হয়েছে, কিন্তু প্রযুক্তির অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যেমন: হাইড্রোজেন যান


নবায়নযোগ্যতা/ক্ষয়তা সম্পাদনা:

নবায়নযোগ্য সম্পদ – নবায়নযোগ্য সম্পদ প্রাকৃতিকভাবে পুনঃপুরণ করা যেতে পারে। এই সম্পদসমূহের মধ্যে কিছু ক্রমাগত পাওয়া যায় এবং তাদের পরিমাণ মানুষের ব্যবহারের দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয় না, যেমন সূর্যালোক, বায়ু, বায়ুপ্রবাহ, পানি ইত্যাদি। যদিও অনেক নবায়নযোগ্য সম্পদের এত দ্রুত পুনরুদ্ধারের হার নেই, এই সম্পদসমূহ অতিরিক্ত ব্যবহারের দ্বারা হ্রাসের জন্য সক্ষম। মানুষের ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পদসমূহকে নবায়নযোগ্য হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় যতক্ষণ না পুনঃপূরণ/পুনরুদ্ধারের হার ব্যবহারের হারের চেয়ে বেশি হয়। তারা অনবায়নযোগ্য সম্পদের তুলনায় সহজেই পুনঃপূরণ করে।অনবায়নযোগ্য সম্পদ – অনবায়নযোগ্য সম্পদ হয় ধীরে ধীরে গঠিত অথবা পরিবেশে প্রাকৃতিকভাবে গঠিত হয় না। খনিজসমূহ এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে সাধারণ সম্পদ। মানব দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পদসমূহ অনবায়নযোগ্য হয় যখন তাদের ব্যবহারের হার পুনঃপূরণ/পুনরুদ্ধারের হারকে অতিক্রম করে; এর একটি ভালো উদাহরণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানি, যেগুলো এই শ্রেণিতে রয়েছে কারণ তাদের গঠনের হার অত্যন্ত ধীর (সম্ভাব্য লক্ষ লক্ষ বছর), যার অর্থ তারা অনবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। কিছু সম্পদ প্রাকৃতিকভাবে মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই পরিমাণে হ্রাস পায়, এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো তেজস্ক্রিয় উপাদান যেমন ইউরেনিয়াম, যা স্বাভাবিকভাবেই ভারী ধাতুতে পরিণত হয়। এর মধ্যে ধাতব খনিজগুলোকে পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে,[৫] তবে কয়লা ও পেট্রোলিয়াম পুনর্ব্যবহার করা যায় না।[৬] একবার তাদের সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা হলে তারা পুনঃপূরণ করতে লক্ষ লক্ষ বছর সময় নেয়।

সংরক্ষণ সম্পাদনা:

মানব কার্যকলাপের কারণে প্রকৃতিকে আরও ক্ষয় থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ প্রকৃতির জন্য বিশ্ব সনদ তৈরি করে। এটিতে বলা হয়েছে যে প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত সকল সামাজিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটি প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার রূপরেখা প্রদান করে এবং ইঙ্গিত করে যে সম্পদের সুরক্ষা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।[২১] ১৯৯০ সালে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অধিক দৃষ্টিপাত করার জন্য প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউসিএন), প্রকৃতির জন্য বিশ্ব বিস্তৃত তহবিল (ডব্লিউডব্লিউএফ) এবং জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) ‘স্থায়িত্বের বিশ্ব নৈতিকতা’ (World Ethic of Sustainability) প্রস্তুত করেছে,[২২] যেখানে টেকসই পরিবেশের জন্য আটটি মান নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নথিসমূহের বিকাশের পর থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তন্মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা এবং সংরক্ষণ জীববিজ্ঞান এবং বাসস্থান সংরক্ষণের অনুশীলন।



সংরক্ষণ জীববিজ্ঞান হলো পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের প্রকৃতি ও অবস্থার বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন, যার লক্ষ্য হলো প্রজাতি, তাদের আবাসস্থল ও বাস্তুতন্ত্রকে বিলুপ্তির অত্যধিক হার থেকে রক্ষা করা।[২৩][২৪] এটি বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা অনুশীলনের একটি আন্তঃবিভাগীয় বিষয়।[২৫][২৬][২৭][২৮] সংরক্ষণ জীববিজ্ঞান শব্দটি ১৯৭৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লস হোলাতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনের শিরোনাম হিসাবে চালু করা হয়েছিল, সম্মেলনটি আয়োজন করেন জীববিজ্ঞানী ব্রুস এ. উইলকক্স ও মাইকেল ই. সুলে।

বাসস্থান সংরক্ষণ হলো এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থাপনা যা বনজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আবাসস্থল সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধার করতে অনুসন্ধান করে, বিশেষ করে সংরক্ষণ নির্ভর প্রজাতি এবং তাদের বিলুপ্তি, খণ্ডিতকরণ বা পরিসরে হ্রাস রোধ করে।


ব্যবস্থাপনা সম্পাদনা:

প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা হলো প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন ভূমি, পানি, মাটি, উদ্ভিদ ও প্রাণী ব্যবস্থাপনার একটি ক্ষেত্র–পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কীভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে তার উপর একটি বিশেষ দৃষ্টিপাত। অতএব, বর্তমান প্রজন্ম ও ভবিষ্যত প্রজন্ম উভয়কে প্রাকৃতিক সম্পদ সরবরাহ করার জন্য সম্পদের বিচারিক ব্যবহার অনুসারে টেকসই উন্নয়ন অনুসৃত হয়। মৎস্যবিদ্যা, বনায়ন ও বন্যপ্রাণীবিদ্যা এসকল ক্ষেত্র প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার বৃহৎ উপশাখার উদাহরণ।

প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সম্পদের সীমা নির্ধারণের জন্য কার সম্পদ ব্যবহারের অধিকার আছে এবং কার নেই তা চিহ্নিত করাও অন্তর্ভুক্ত।[৩০] স্থানীয় অবস্থার উপর নির্ভর করে কখন এবং কীভাবে সম্পদ ব্যবহার করা হয় তা নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম অনুসারে সম্পদসমূহ ব্যবহারকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে[৩১] অথবা সম্পদসমূহ সরকারি সংস্থা বা অন্যান্য কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারাও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।[৩২]


"...প্রাকৃতিক সম্পদের সফল ব্যবস্থাপনা বাক স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে, একাধিক স্বাধীন গণমাধ্যম চ্যানেলের মাধ্যমে একটি গতিশীল ও ব্যাপক জনবিতর্ক এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সমস্যায় নিযুক্ত একটি সক্রিয় নাগরিক সমাজ..."[৩৩] প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে পারে, এর কারণ শেয়ারকৃত সম্পদের প্রকৃতি, যারা নিয়ম দ্বারা প্রভাবিত হয় তাঁরা সম্পদ বিন্যাস বা পরিবর্তন করতে অংশগ্রহণ করতে পারে।[৩০] সরকার কর্তৃক স্বীকৃতির অধীনে ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ও পরিকল্পনা তৈরি করার অধিকার রয়েছে। সম্পদের অধিকারের মধ্যে রয়েছে ভূমি, পানি, মৎস্য ও চারণভূমি সংক্রান্ত অধিকার।[৩১] সম্পদের ব্যবহারকারী বা ব্যবহারকারীদের কাছে দায়বদ্ধ পক্ষগুলোকে সক্রিয়ভাবে নিরীক্ষণ করতে হবে ও নিয়মানুসারে সম্পদ সম্মতির (resource compliance) সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা নিয়ম লঙ্ঘন করে তাঁদের উপর জরিমানা আরোপ করতে হবে।[৩০] অপরাধের গুরুতরতা ও প্রেক্ষাপট অনুসারে এই বিরোধসমূহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা দ্রুত ও কম খরচে সমাধান করা হয়।[৩১] প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হলো সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ফোরাম (ডব্লিউআরএফ)।


উপসংহার:পরিশেষে বলতে চাই, পরিবেশের সংরক্ষণের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার জন্য বছরব্যাপী বিভিন্ন দিনে ও নামে দিবস পালন করা হয়ে থাকে। স্মরণ রাখতে হবে, শুধু দিবস পালনের মাধ্যমে যেন দায়িত্ববোধ শেষ না হয়ে যায়। দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্যাপক গবেষণা ও অনুসন্ধান চালাতে হবে। আর প্রকৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো সংস্থানের নয়। এ দায়িত্ব প্রতিটি ব্যক্তির বা প্রতিটি নাগরিকের। কেননা, প্রকৃতি আমাদের আশ্রয়দাতা, আমাদের অক্সিজেনের উৎস। তাই সময় থাকতেই আসুন সবাই নিজে সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি, প্রকৃতিকে রক্ষা করি। সবাই একসঙ্গে আওয়াজ তুলি, ‘প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করুন’। প্রকৃতি আর প্রকৃতির মধ্যেই আমাদের বসবাস। তাই প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে এটাই হোক সবার প্রত্যয়।

Post a Comment

0 Comments